থ্রিডি প্রিন্টিং

থ্রিডি প্রিন্টিং কিভাবে কাজ করে

2/17/20241 min read

a close up of an orange object with a pencil
a close up of an orange object with a pencil

বন্ধুরা, আজ চলুন থ্রিডি প্রিন্টিং সম্পর্কে একটু জেনে নিই। এত হৈ চৈ কেন থ্রিডি প্রিন্টিং নিয়ে!

থ্রিডি প্রিন্টিং নিয়ে হৈ চৈ কেন?

মনে করুন: আপনার মাথার ভিতরে একটি চিন্তা/ধারণা আছে। এখন, এই ধারণাকে শুধুমাত্র কিছু ক্লিক করে একটি বাস্তব বস্তুতে বদলে দেওয়া যায় কি? হ্যাঁ, যায় - এটিই থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের জাদু! এটি শুধু একটি প্রযুক্তি নয়; এটি একটি সুপার-পাওয়ার।

এটি কিভাবে কাজ করে?

থ্রিডি প্রিন্টিং আপনার সাধারণ প্রিন্টারের মতো, তবে একটি আপগ্রেড সহ। কাগজে কালি প্রিন্ট করার বদলে, এটি স্তরে স্তরে পদার্থ জমা করে একটি ত্রিমাত্রিক বস্তু তৈরি করে। যতক্ষণ পর্যন্ত বস্তুটি তৈরি না হয় এই স্তরগুলি একে অপরের উপর স্থাপন করা হয়। প্রক্রিয়াটি সাধারণত একটি ডিজিটাল মডেল দিয়ে শুরু হয়। এই মডেলটিকে অনেকগুলো স্তরে ভাগ করা হয়। থ্রিডি প্রিন্টার একে একে স্তরগুলো ছাপতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ডিজাইনটি বাস্তবতায় রূপ নেয়। থ্রিডি প্রিন্টিং-এর একটি ভাল দিক হলো যে আপনি এতে বহু উপাদান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্লাস্টিক থেকে ধাতু এবং আরো বহু উপাদান এতে ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহার

থ্রিডি প্রিন্টিং-এর সম্ভাবনা অসীম। আপনার ফোন কেস প্রয়োজন? প্রিন্ট করুন। নিজের একটি অ্যাকশন ফিগার চান? প্রিন্ট করুন। নাসা কাজ করছে কি করে মঙ্গল গ্রহে থ্রিডি প্রিন্টিং কাজে লাগানো যায়। থ্রিডি প্রিন্টিং-এর ব্যবহার, স্বাস্থ্য ও এরোস্পেস থেকে ফ্যাশন, খাবার, এবং আর্টস পর্যন্ত। থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, আমরা এর অবিশ্বাস্য সব ব্যবহার দেখছি।

থ্রিডি প্রিন্টিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যেমনঃ
প্রোটোটাইপিং: নতুন ডিজাইনের মডেল তৈরি করতে।
চিকিৎসা: প্রোস্থেটিকস, অঙ্গসংস্থাপন ইত্যাদির জন্য।
স্থাপত্য: মিনিচার মডেল তৈরি করতে।
শিল্পকলা: ভাস্কর্য, গহনা ইত্যাদি তৈরি করতে।
শিক্ষা: শিক্ষার্থীদের থ্রিডি মডেল তৈরিতে সাহায্য করতে।

সুবিধা

প্রথাগত প্রক্রিয়া থেকে থ্রিডি প্রিন্টিং আলাদা, কেননা প্রথাগত পদ্ধতিতে কোন কিছু তৈরি করতে হলে একটি ধাতুকে কেটে, ছিদ্র করে অথবা গলিয়ে কাঙ্ক্ষিত আকার দেয়া হয়।। প্রথাগত পদ্ধতিতে কিছু তৈরির জন্য বড় বড় ছাঁচ বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়, যা খুব ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টিংয়ে কোনো ছাঁচের প্রয়োজন হয় না, শুধু একটি ডিজিটাল ফাইল থাকলেই চলে। এতে খরচ এবং সময় দুটোই অনেক কম লাগে।

থ্রিডি প্রিন্টিং একটি নতুন প্রযুক্তি হলেও এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।